স্বদেশ ডেস্ক:
সাবেক ডিআইজি মিজানুর রহমানসহ ৪ আসামির বিরুদ্ধে চলমান অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় আগামী ২১ জুন রায় ঘোষণা করবেন আদালত।
আজ সোমবার মামলাটির শুনানি শেষে ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মনজুরুল ইমাম রায় ঘোষণার এ দিন ঠিক করেন। মামলাটির চার্জশিটভুক্ত ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
মামলাটিতে দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল এবং আসামিপক্ষে সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। মামলায় মিজানুর রহমানসহ চার আসামির সর্বোচ্চ ২৫ বছর করে কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানান দুদকের প্রসিকিউটর।
২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। মামলার আসামিদের মধ্যে মিজানুর রহমান ও তার ভাগ্নে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসানকে কারাগার রয়েছেন। অপর দুই আসামি মিজানের তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ও ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান পলাতক রয়েছেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শেষে গত বছর ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ এ চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
মামলার পর আত্মগোপনে থাকা সাবেক ডিআইজি মিজান ২০১৯ সালের ১ জুলাই হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে তা নাকচ হয়। পরদিন আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান ৪ জুলাই একই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঘুষ লেনদেনের মামলায় মিজানুর রহমানের ৩ বছর এবং দুদকের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের ৮ বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন আদালত।